বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্থানীয় উন্নয়নে এমপির ভূমিকা

ব্রিটেন এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি তুলনামূলক আলোচনা

আমার বর্তমানে চলমান গবেষণা প্রকল্পের লক্ষ্য যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা অন্বেষণ করা। সাংবিধানিকভাবে আমাদের দেশে সাংসদদের উপর অর্পিত বাধ্যতামূলক উপদেষ্টার ভূমিকা এবং এর ফলাফল সম্পর্কে আমি বিশেষভাবে আগ্রহী। নতুন আঙ্গিকে ব্যাখ্যার লক্ষ্যে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে থাকাকালীন স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় ব্রিটিশ এমপিদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে শুরু করি। এই প্রক্রিয়ায় হাউস অব কমন্সের সদস্যরা কীভাবে তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাও আমি প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হয়েছি ।

আমি কেমব্রিজ এমপি মি. ড্যানিয়েল জেইচনারের ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট থেকে জানতে পেরেছি যে তিনি ‘সার্জারি’ নামে নিয়মিত সেশন করেন, যেখানে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাথে সমস্যার বিষয়ে কথা বলার জন্য দেখা করেন। এই বিষয়টি সত্যিই আমার মধ্যে কৌতূহল তৈরি করে এবং আমি কেমব্রিজ এমপির সাথে কথা বলার জন্য একটি সাক্ষাত্কার আয়োজন করি। ইউনাইটেড কিংডমের বেশির ভাগ সাংসদ তাদের ভোটারদের সাথে নিয়মিত এই ‘সার্জারি’ বৈঠক করেন। এটি সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছাসেবী, তাই এমপিরা যতবার খুশি তাদের নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে মিথস্ক্রিয়া পরিচালনা করতে পারেন। সাধারণত শুক্রবার বা সপ্তাহান্তে এমপিরা ওয়েস্টমিনস্টার থেকে ফিরে আসার পর এটি অনুষ্ঠিত হয়।

একজন স্থানীয় এমপির সার্জারির সময় সম্পর্কে জানার সর্বোত্তম উপায় হল তার ওয়েবসাইটে দেখা বা নির্বাচনী অফিসে কল করা। সার্জারির বিবরণ স্থানীয় সংবাদপত্র বা পাবলিক লাইব্রেরিতেও প্রকাশিত হতে পারে। তবে যে কেউএমপির অফিসে কল করতে পারে এবং সার্জারি সেশনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারে। মি. জিচনার সাধারণত সপ্তাহে একবার সার্জারি সেশন করেন এবং স্থানীয়ভাবে ও অনলাইনে তার জন্য বিজ্ঞাপন দেন। বর্তমানে এমপি হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। কেননা সার্জারি সেশনের মাধ্যমে তারা তাদের ভোটারদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হন।

উন্নয়ন পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্যের এমপিদের কোন আনুষ্ঠানিক ভূমিকা নেই। ভোটাররা প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে এমপিদের কাছে লেখেন, কিন্তু একজন এমপি কী করতে পারেন সে সম্পর্কে তাদের অবাস্তব প্রত্যাশা করা উচিত নয়। যারা সিদ্ধান্ত নেন যেমন, পরিকল্পনা কর্মকর্তা, কাউন্সিলর, পরিকল্পনা পরিদর্শক এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী-তাদেরকে কঠোর পদ্ধতিগত নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এই নিয়মগুলির কারণেই আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির বাইরে কারও সাথে অনানুষ্ঠানিক, ব্যক্তিগত আলোচনা দ্বারাসিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করা যায় না ।

কখনও কখনও সাংসদরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের ভোটারদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে সহায়তা করেন। একইভাবে, তিনি যে নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন, তার পক্ষে পরিকল্পনা কমিটির সাথে কথা বলার জন্য তিনি তার নামও প্রস্তাব করতে পারেন। মি. জেইচনার বিশ্বাস করেন যে, কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। নির্বাচনী এলাকার দাবির ভিত্তিতে পরিকল্পনা কমিটির সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি তার নাম দেয়ারচেষ্টা করেন, তার প্রভাব এটুকুই। এটি যুক্তরাজ্যের বিকেন্দ্রীকৃত এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলির সৌন্দর্য।

বাংলাদেশে, এমপিরা তাদের উপদেষ্টা ভূমিকার সীমানা অতিক্রম করা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কারণে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেকাংশে অকার্যকর। আমাদের দেশে সংসদ সদস্যের তিনটি প্রাথমিক দায়িত্ব রয়েছে: রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব, সামাজিক বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব এবং নির্বাচনী প্রতিনিধিত্ব। তবে সাংবিধানিকভাবে স্থানীয় সরকার পরিচালনায় বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা শুধুমাত্র উপদেষ্টা ভূমিকা পালন করতে পারবেন। যদিও এটি কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজনীতিবিদদের স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পে জড়িত হতে বা তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে বাধা প্রদান করে না।

উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯ অনুসারে, স্থানীয় সরকার সংস্থার উপদেষ্টা হিসাবে একজন এমপির ভূমিকা বিতর্কিত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা এমনকি নিয়ন্ত্রণ করে সংসদ সদস্যদের ‘উপদেশ প্রায়ই ‘নির্বাহী আদেশে’ পরিণত হয়। গ্রামীণ বাংলাদেশে গণমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেসাবে বিকেন্দ্রীকরণের পাশাপাশি এমপি, মাঠ প্রশাসক এবং স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ক আরও স্বচ্ছ করা উচিত।

যদিও বিকেন্দ্রীকরণ গ্রামীণ বাংলাদেশে জনসমর্থক উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক, তবুও এমপি এবং মাঠ প্রশাসক এবং স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ককে আরও বিশ্বস্ত করা উচিত। সংসদ সদস্যদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তারা তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাধারণ স্বার্থের কথা চিন্তা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই নির্বাচিত হন। তারা জনগণকে শাসন করার জন্য নির্বাচিত হন না, এবং এটি তাদের কাজের অংশও নয়।

উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে, সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করা উচিত যাতে তারা সংসদ কর্তৃক গৃহীত নীতি অনুসরণ করতে পারেন। কিন্তু স্থানীয় শাসনে তাদের হস্তক্ষেপের ফলে জনসম্পদ নিয়ন্ত্রণ, পক্ষপাতদুষ্ট বণ্টন, অসদাচরণ, স্বজনপ্রীতি এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। সর্বপরি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য সর্বোত্তম চর্চাগুলি গুরুত্বপূর্ণ। সংসদ সদস্যদের প্রক্রিয়াগত সঠিকতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হওয়া উচিত কেননা তারা আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মশালবাহক।

উন্নয়নকে সত্যিকার অর্থে অর্থবহ করতে এমপিদেরকে অবশ্যই স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা হিসেবে স্থানীয় সরকারের কার্যকারিতার জন্যশক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। এমপি, স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সহযোগিতা বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় ন্যায়সঙ্গত উন্নয়ন নিশ্চিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)। ইমেইল: t.islam@juniv.edu

 

Header Ad
Header Ad

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক

ছবিঃ সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছে আটক হলেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম। তার বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ আছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

তারেক আলমের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী।

জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে আদালতে হাজির করতে যাচ্ছে।

অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকিং নিয়মাচার ভেঙে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, এমন অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। একইসঙ্গে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থপাচারের অধিকতর অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে তিন সংস্থার সমন্বয়ে যৌথ টিমও কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!

২৮ জানুয়ারি থেকে চলবে না ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

পেনশন ও নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি রাজধানীর রেল ভবনে রেলওয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে সভা শেষে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি-দাওয়া পূরণে বারবার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতদিন পার হয়ে যাওয়ার পরেও তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা করছে না। তারা বারবার সময় চাইছে। আমরা মহাপরিচালকের সঙ্গে সভায় আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে তারা যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ২৮ তারিখ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু হবে।

ময়মনসিংহ স্টেশনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ বিক্ষোভ।

মো. মজিবুর রহমান বলেন, রেলের রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) এবং সাব-লোকোমাস্টার (এসএলএম)। ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। সেজন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।

মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিকভাবে আমরা আন্দোলন করে আসছি।

চট্টগ্রাম বটতলী পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।  

অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করতে হয় বলে অনেক রানিং স্টাফ চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। রানিং স্টাফ পদে এতে ২ হাজার ২৩৫ জন কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও এখন ১ হাজার ১৩৫ জন কাজ করছেন। এতে রানিং স্টাফরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাচ্ছেন না। 

অবশ্য এর আগেও মাইলেজের দাবিতে রেলের রানিং স্টাফরা আংশিক কর্মবিরতি পালন করেছেন। এতে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় শুরু হয়, ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। চলতি ডিসেম্বর মাসে রানিং স্টাফদের কর্মসূচিতে বেশ কয়েকটি মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করতে হয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে। এবার দেশব্যাপী সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি

কণ্ঠশিল্পী মনির খানের বাবার জানাজা। ছবি: সংগৃহীত

কোটি বাঙালির প্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান শোকাহত। তার বাবা মো. মাহবুব আলী খান মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ৯৯ বছর বয়সে মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাই রাজিউন)। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ঝিনাইদহে নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে এ শোকাবহ মুহূর্তে একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। জানাজার মাঠ থেকে চুরি হয়ে যায় শিল্পী মনির খানের আইফোন এবং তার ছেলের মোবাইল ফোন। গায়ক মনির খান নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বাবা মো. মাহবুব আলী খানের সঙ্গে মনির খান। ছবি: সংগৃহীত

মাহবুব আলী খানকে পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। প্রিয় বাবা হারানোর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মনির খান, এমন অবস্থাতেই চুরির এই ঘটনা তার জন্য দুঃখজনক।

মনির খানের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ১৯৯৬ সালে তার *তোমার কোন দোষ নেই* অ্যালবামটি প্রকাশের পরই তিনি সংগীতপ্রেমীদের মন জয় করেন। তার কণ্ঠে প্রায় সব গানই শ্রোতাদের হৃদয়ে দাগ কাটে, বিশেষ করে 'তোমার কোন দোষ নেই' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এরপর থেকে একের পর এক হিট অ্যালবাম এবং সিনেমার গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

এ পর্যন্ত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে একক অ্যালবাম এবং তিন শতাধিক দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামে গান গেয়েছেন মনির খান। তার সুরেলা কণ্ঠে গাওয়া গানগুলো বাংলা ভাষাভাষী শ্রোতাদের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। 'অঞ্জনা' খ্যাত এই শিল্পী তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল 'মনির খান' ও 'এমকে মিউজিক 24' থেকে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করে যাচ্ছেন তিনি, যা তার ভক্তদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি
মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার
বিএনপি ৩১ দফা বাস্তবায়নে জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: আমীর খসরু
বাবা-মা চাচ্ছিলেন না আমি পৃথিবীতে আসি : অপু বিশ্বাস
৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ
নিজের সিনেমায় নিজের লেখা গান গাইলেন মোশাররফ করিম
আদালতে চকলেট খেতে চাইলেন সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী
আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানা গেল
৯ বছরেও শেষ হয়নি রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত, দায়িত্ব নিতে চায় দুদক
গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!