রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

স্থানীয় উন্নয়নে এমপির ভূমিকা

ব্রিটেন এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি তুলনামূলক আলোচনা

আমার বর্তমানে চলমান গবেষণা প্রকল্পের লক্ষ্য যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা অন্বেষণ করা। সাংবিধানিকভাবে আমাদের দেশে সাংসদদের উপর অর্পিত বাধ্যতামূলক উপদেষ্টার ভূমিকা এবং এর ফলাফল সম্পর্কে আমি বিশেষভাবে আগ্রহী। নতুন আঙ্গিকে ব্যাখ্যার লক্ষ্যে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে থাকাকালীন স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় ব্রিটিশ এমপিদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে শুরু করি। এই প্রক্রিয়ায় হাউস অব কমন্সের সদস্যরা কীভাবে তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাও আমি প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হয়েছি ।

আমি কেমব্রিজ এমপি মি. ড্যানিয়েল জেইচনারের ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট থেকে জানতে পেরেছি যে তিনি ‘সার্জারি’ নামে নিয়মিত সেশন করেন, যেখানে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাথে সমস্যার বিষয়ে কথা বলার জন্য দেখা করেন। এই বিষয়টি সত্যিই আমার মধ্যে কৌতূহল তৈরি করে এবং আমি কেমব্রিজ এমপির সাথে কথা বলার জন্য একটি সাক্ষাত্কার আয়োজন করি। ইউনাইটেড কিংডমের বেশির ভাগ সাংসদ তাদের ভোটারদের সাথে নিয়মিত এই ‘সার্জারি’ বৈঠক করেন। এটি সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছাসেবী, তাই এমপিরা যতবার খুশি তাদের নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে মিথস্ক্রিয়া পরিচালনা করতে পারেন। সাধারণত শুক্রবার বা সপ্তাহান্তে এমপিরা ওয়েস্টমিনস্টার থেকে ফিরে আসার পর এটি অনুষ্ঠিত হয়।

একজন স্থানীয় এমপির সার্জারির সময় সম্পর্কে জানার সর্বোত্তম উপায় হল তার ওয়েবসাইটে দেখা বা নির্বাচনী অফিসে কল করা। সার্জারির বিবরণ স্থানীয় সংবাদপত্র বা পাবলিক লাইব্রেরিতেও প্রকাশিত হতে পারে। তবে যে কেউএমপির অফিসে কল করতে পারে এবং সার্জারি সেশনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারে। মি. জিচনার সাধারণত সপ্তাহে একবার সার্জারি সেশন করেন এবং স্থানীয়ভাবে ও অনলাইনে তার জন্য বিজ্ঞাপন দেন। বর্তমানে এমপি হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। কেননা সার্জারি সেশনের মাধ্যমে তারা তাদের ভোটারদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হন।

উন্নয়ন পরিকল্পনায় যুক্তরাজ্যের এমপিদের কোন আনুষ্ঠানিক ভূমিকা নেই। ভোটাররা প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে এমপিদের কাছে লেখেন, কিন্তু একজন এমপি কী করতে পারেন সে সম্পর্কে তাদের অবাস্তব প্রত্যাশা করা উচিত নয়। যারা সিদ্ধান্ত নেন যেমন, পরিকল্পনা কর্মকর্তা, কাউন্সিলর, পরিকল্পনা পরিদর্শক এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী-তাদেরকে কঠোর পদ্ধতিগত নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এই নিয়মগুলির কারণেই আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির বাইরে কারও সাথে অনানুষ্ঠানিক, ব্যক্তিগত আলোচনা দ্বারাসিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করা যায় না ।

কখনও কখনও সাংসদরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের ভোটারদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে সহায়তা করেন। একইভাবে, তিনি যে নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন, তার পক্ষে পরিকল্পনা কমিটির সাথে কথা বলার জন্য তিনি তার নামও প্রস্তাব করতে পারেন। মি. জেইচনার বিশ্বাস করেন যে, কোন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সংসদ সদস্যদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। নির্বাচনী এলাকার দাবির ভিত্তিতে পরিকল্পনা কমিটির সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনি তার নাম দেয়ারচেষ্টা করেন, তার প্রভাব এটুকুই। এটি যুক্তরাজ্যের বিকেন্দ্রীকৃত এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলির সৌন্দর্য।

বাংলাদেশে, এমপিরা তাদের উপদেষ্টা ভূমিকার সীমানা অতিক্রম করা এবং উন্নয়ন পরিকল্পনায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কারণে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অনেকাংশে অকার্যকর। আমাদের দেশে সংসদ সদস্যের তিনটি প্রাথমিক দায়িত্ব রয়েছে: রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব, সামাজিক বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব এবং নির্বাচনী প্রতিনিধিত্ব। তবে সাংবিধানিকভাবে স্থানীয় সরকার পরিচালনায় বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা শুধুমাত্র উপদেষ্টা ভূমিকা পালন করতে পারবেন। যদিও এটি কেন্দ্রীয় নেতা ও রাজনীতিবিদদের স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পে জড়িত হতে বা তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে বাধা প্রদান করে না।

উপজেলা পরিষদ আইন ২০০৯ অনুসারে, স্থানীয় সরকার সংস্থার উপদেষ্টা হিসাবে একজন এমপির ভূমিকা বিতর্কিত হওয়া উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মকাণ্ডকে উপেক্ষা এমনকি নিয়ন্ত্রণ করে সংসদ সদস্যদের ‘উপদেশ প্রায়ই ‘নির্বাহী আদেশে’ পরিণত হয়। গ্রামীণ বাংলাদেশে গণমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেসাবে বিকেন্দ্রীকরণের পাশাপাশি এমপি, মাঠ প্রশাসক এবং স্থানীয়ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ক আরও স্বচ্ছ করা উচিত।

যদিও বিকেন্দ্রীকরণ গ্রামীণ বাংলাদেশে জনসমর্থক উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক, তবুও এমপি এবং মাঠ প্রশাসক এবং স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পর্ককে আরও বিশ্বস্ত করা উচিত। সংসদ সদস্যদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, তারা তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের সাধারণ স্বার্থের কথা চিন্তা করা এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই নির্বাচিত হন। তারা জনগণকে শাসন করার জন্য নির্বাচিত হন না, এবং এটি তাদের কাজের অংশও নয়।

উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা হিসেবে, সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করা উচিত যাতে তারা সংসদ কর্তৃক গৃহীত নীতি অনুসরণ করতে পারেন। কিন্তু স্থানীয় শাসনে তাদের হস্তক্ষেপের ফলে জনসম্পদ নিয়ন্ত্রণ, পক্ষপাতদুষ্ট বণ্টন, অসদাচরণ, স্বজনপ্রীতি এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে। সর্বপরি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলি সঠিকভাবে কাজ করার জন্য সর্বোত্তম চর্চাগুলি গুরুত্বপূর্ণ। সংসদ সদস্যদের প্রক্রিয়াগত সঠিকতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হওয়া উচিত কেননা তারা আমাদের দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মশালবাহক।

উন্নয়নকে সত্যিকার অর্থে অর্থবহ করতে এমপিদেরকে অবশ্যই স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সংস্থা হিসেবে স্থানীয় সরকারের কার্যকারিতার জন্যশক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। এমপি, স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে সহযোগিতা বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় ন্যায়সঙ্গত উন্নয়ন নিশ্চিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)। ইমেইল: t.islam@juniv.edu

 

Header Ad
Header Ad

একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ছবি: সংগৃহীত

দুই বাংলার দুই জগতের জনপ্রিয় তারকা সৃজিত-মিথিলা। দাম্পত্য জীবনে ঠিকঠাক থাকলেও দেয়ালের ফাঁক গলে ভেসে আসে বিচ্ছেদের বার্তা। এসব খবর তারা দুজনেই মুচকি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকবার। তবুও প্রতিবছর নেটিজেনরা তাদের সম্পর্ককে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। আবারো বিশেষ এক কারণে সেই বার্তা চাউর হয়েছে।

কাজ আর ব্যক্তিজীবন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন মিথিলা-সৃজিত। এরই মধ্যে হঠাৎ ভেসে আসে তাদের দাম্পত্য কলহের কথা। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে মিথিলার সংসার ভাঙার গুঞ্জন।

বিয়ের পর মেয়ে আইরাকে নিয়ে বছর খানেক কলকাতাতে থিতুও হয়েছিলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। কিন্তু সেসব এখন অতীত।

আইরাকে ফের দেশে ফিরিয়ে এনেছেন মিথিলা। ভর্তি করিয়েছেন এখানকার স্কুলে। বর্তমানে মায়ের পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন মিথিলাকন্যা।

বহুদিন ধরেই সৃজিত-মিথিলার দাম্পত্য নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি সময়ে তাদের বিচ্ছেদের খবরও সংবাদের শিরোনাম হয়েছে।

বৈবাহিক জীবনে এই তারকা দম্পতির মাঝে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে, সেটা সৃজিতের জন্মদিনে আরও বেশি স্পষ্ট হয়েছে। গত ২৩শে সেপ্টেম্বর নির্মাতার জন্মদিনেও তার পাশে দেখা মেলেনি মিথিলার।

টালিগঞ্জের অন্দরে বাইরে জোর চর্চা, সত্যিই নাকি বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন সৃজিত-মিথিলা। বহুদিন ধরেই আলাদা থাকছেন তারা। দুজনে মাঝে তৈরি হয়েছে দূরত্ব।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্বের জন্য মেয়ে আইরাকে খুব মিস করছেন সৃজিত। বর্তমানে দু’জন রয়েছেন কাঁটাতারের দুইপ্রান্তে। একজন বাংলাদেশে অন্যজন কলকাতায়।

Header Ad
Header Ad

আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে জেলা বারের তদন্ত কমিটির সবাই পদত্যাগ করেছেন। গত বুধবার ও তার আগে কমিটির সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বিষয়টি শনিবার জানাজানি হয়।

পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির প্রধান হচ্ছেন সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সাত্তার। গত বুধবার তিনি সমিতির সভাপতির কাছে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর দুদিন আগে কমিটির চার সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন।

আইনজীবী মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ঘটনার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রশাসন ও আদালতের কর্মকর্তারাও সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। আইনজীবীরা যদি ঘটনাটির তদন্ত করে তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, স্পর্শকাতর এ বিষয়টির সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক দিয়ে বিচারিক তদন্ত হওয়া উচিত। এই কারণে কমিটির সদস্যরা সবাই অব্যাহতি নিয়েছেন।’

উল্লেখ, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনার তদন্তে সমিতির পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এ ছাড়া ২৯ নভেম্বর নিহত আইনজীবী সাইফুলের বাবা বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। একই দিন আলিফের ভাই বাদী হয়ে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

 

Header Ad
Header Ad

যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ

কক্সবাজার সীমান্তের পাশে আশি শতাংশের বেশি অঞ্চল আরকান আর্মির দখলে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কক্সবাজার সীমান্তের ওপাড়ে যেকোনো মুহুর্তে হতে পারে নতুন একটি রাষ্টের ঘোষণা।চলতি মাসেই সরকারি বাহিনীকে পরাজিত করে রাখাইনে আশি শতাংশের বেশি অঞ্চলের দখল নিয়েছে রাজ্যটির সশস্ত্র বিদ্রোহী বাহিনী আরাকান আর্মি।এতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে ঘিরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর এখন দক্ষিণ এশিয়ায়।

ফলে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের অস্থিরতার মধ্যেই আরও বড় ঘূর্ণাবতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। জানা গেছে, রাখাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছে ভারত চীন আমেরিকার মতো দেশগুলো। 

এতে প্রশ্ন উঠেছে, ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কি নতুন সংকটে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই নতুন সমীকরণে কতটা  স্বস্তিকর হবে ঢাকার জন্য এই নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। এমন খবরই উঠে আসছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে। 

দেড় দশক আগে ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান (ইউএলএ) এর সামরিক শাখা আরাকার আর্মির। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবিতে তারা তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

সরকারি বাহিনীকে রীতিমত পরাজিত করে তারা পুরো অঞ্চল দখল নিয়েছে। সর্বশেষ মংডু দখল করার মধ্য দিয়ে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়েছে। খুব দ্রুত হয়তো আত্নপ্রকাশ হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের পাশে নতুন একটি দেশ আরাকান রাজ্য। রাখাইন নৃগোষ্ঠীর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই সংগঠন নিজেদের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সামনে রেখে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় গোষ্ঠীটি।
আলওয়ান খান, ঢাকাপ্রকাশ

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০
আশ্বস্ত করছি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না: প্রধান উপদেষ্টা
সত্যি কি থাপ্পড় মেরেছিলেন শাহরুখ, ৯ বছর পর মুখ খুললেন হানি সিং
মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল